আমার প্রিয় খেলা ফুটবল রচনা অথবা তোমার প্রিয় খেলা রচনা স্কুলের পরীক্ষায় এসে থাকে তাই সুন্দর ভাবে আমার প্রিয় খেলা ফুটবল রচনা বর্ণনা করা হল এবং সবশেষে PDF দেওয়া হল।
ভূমিকা
অবসর সময় কাটানো বা বিনোদনের জন্য আমরা নানা রকম খেলাধুলা করে থাকি। এসব খেলার মাঝে দেশি খেলা যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে বিদেশি খেলা। পৃথিবীর জনপ্রিয় খেলার মধ্যে ফুটবল অন্যতম। এটি যদিও বিদেশি খেলা তারপরও ছেলেমেয়েদের মাঝে ফুটবল খুবই উত্তেজনাপূর্ণ খেলা।
উৎপত্তি ও প্রচলন
চীন থেকেই এটি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। তারপর ইউরোপীয় খেলোয়াড়রাই সর্বপ্রথম ফুটবল আমদানি করে এবং এর প্রসার ঘটায়। ১৮৫০ সালের মধ্য ভাগে প্রথম ফুটবল ক্লাব গড়ে ওঠে ইংল্যান্ডের শেফিলেডে। এরপর পর্যায়ক্রমে ডেনমার্ক, ফ্রান্স, ব্রাজিল, রাশিয়ায় বিপুলভাবে বিস্তৃতি লাভ করে।
খেলার নিয়ম
সাধারণত ফুটবল খেলা বিকেলের দিকে অনুষ্ঠিত হয়। এর সময়সীমা ৯০ মিনিট। যদি কোনো পক্ষ নির্ধারিত ৯০ মিনিটের মধ্যে গোল করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে রেফারি পেনাল্টি বা সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। নির্দিষ্ট সময়ে রেফারির বাঁশির শব্দের সঙ্গে সঙ্গে খেলা শুরু হয়। একমাত্র গোলকিপার ছাড়া কোনো খেলো হাতে বল লাগলে হ্যান্ডবল হয়। কেউ বিপক্ষের খেলোয়াড়কে বিনা কারণে ধাক্কা দিলে ফাউল হয়। গোল পোস্টে সামনে ডি বক্সের মধ্যে নিজ পক্ষ ফাউল করলে পেনাল্টি কিক দেওয়া হয়। বলটি কোনো পক্ষের গোল পোস্টের মধ্য দিয়ে ঢুকে গেলে গোল হয়।
বিশ্বকাপ ফুটবল
ফুটবল খেলা পৃথিবীতে এতটাই জনপ্রিয় যে, এটির শক্তিশালী একটা সংস্থা আছে। এ সংস্থাটির নাম ফিফা। বিশ্বকাপ অঙ্গনে ফুটবলের পদার্পণ ১৯৩০ সালে উরুগুয়েতে। বর্তমান বিশ্বকাপের নাম ফিফা-বিশ্বকাপ।
উপকারিতা
ফুটবল খেলার মধ্যে বেশ আনন্দ রয়েছে। এ খেলা স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। এতে দেহের সব উত্তমরূপে পরিচালিত হয় বলে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গসমূহ সকল ও দৃঢ় হয়।
অপকারিতা
ফুটবল খেলার অপকারিতাও আছে। অধিক সময় ধরে ফুটবল খেলা স্বাস্থ্যের উপকারী না অপকারই হয়ে থাকে। তাই এ খেলার প্রতিটি নিয়ম মেনে চলা উচিত।
উপসংহার
ফুটবল খেলা ছোট বড় সব বয়সী মানুষেরই প্রিয় খেলা। কিন্তু আমাদের দেশের খেলোয়াড়রা আজ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মান অর্জন করতে পারেনি। তাই আমাদের দেশের ফুটবলের ব্যাপক উন্নতি হওয়া অত্যন্ত জরুরি।
Download PDF : আমার প্রিয় খেলা ফুটবল রচনা
আরও পড়ুনঃ