নমস্কার বন্ধুরা, আজ আমরা তোমাদের জন্য রক্ত দান শিবির প্রতিবেদন রচনা বর্ণনা করছি আশা রাখছি সবার ভালো লাগবে।
ভূমিকা
দানধর্ম শ্রেষ্ঠ ধর্ম— একথা ঠিকই কিন্তু রক্তদান কেন মহৎ কর্তব্য তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। উত্তরে বলা যেতে পারে, রক্ত যেহেতু জীবন বাঁচায় তাই রক্তদান তো জীবন দানের সামিল। যা দান করলে দাতার কোন ক্ষতি হয় না অথচ গ্রহীতার পরম উপকার হয় তা প্রকৃত দান এবং এই দান এক মহৎ কর্তব্য এ কারণে যে তার দ্বারা একজন মৃত্যু পথযাত্রী প্রাণ ফিরে পায়।
রক্তের প্রয়োজন
রক্তের অপর নাম জীবন কারণ রক্ত হল প্রাণের উৎস। উদ্ভিদ যেমন মাটি থেকে খাদ্য রস গ্রহণ করে তেমনি আমরা বেঁচে থাকি রক্তের মাধ্যমে। আমাদের প্রাণের স্পন্দন, পরমায়ু শক্তি রক্তের উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। একজন হঠাৎ দুর্ঘটনা গ্রস্ত হলে এবং সেই দুর্ঘটনায় ক্ষতের সৃষ্টি হলে রক্তক্ষরণ হতে হতে দেহ রক্তহীন হয়ে পড়ে, তখন তার জীবন শেষ হয়ে আসে অস্ত্রোপচার এর কাছে কিন্তু আমাদের রক্তের প্রয়োজন এবং বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কারণেও কিন্তু আমাদের রক্তের প্রয়োজন।
রক্তের শ্রেণী
রক্তদান হল এক সুস্থ শরীরের রক্ত অন্য এক অসুস্থ শরীরে সঞ্চালন করা। রক্তের শ্রেণীকে 4 ভাগে ভাগ করা যায় A,B,AB, এবং O এই group নির্ণয়ের কৃতিত্বের অধিকারী হলেন কার্ল ল্যান্ড স্টেইনার।রক্তের গ্রুপ জানা এবং একই গ্রুপের রক্ত অন্যের শরীরে কোনো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে না।
রক্ত দানের গুরুত্ব
রক্তদানের গুরুত্ব আধুনিক জীবনে একটি মহৎ দান হিসাবে বিবেচিত। কারণ একজন মানুষের শরীরে রক্ত যেভাবে সঞ্চিত হয়, তার সবটা শরীরে প্রয়োজন হয়না। ফলে অতিরিক্ত রক্ত রক্তরসে পরিণত হয়ে তা নষ্ট হয়ে যায়। ফলে রক্তদানের জন্য শরীরের তো ক্ষতি হয়না, বরং একজন জীবন ফিরে পেতে পাবে। রক্ত সংরক্ষণ, যে উদ্দেশ্যে রক্তদান, উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে হলে চাই রক্ত সংরক্ষণ। প্রয়োজনের সময় কাজে লাগাতে গেলে রক্তের সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। ফলে এই সংরক্ষিত রক্ত প্রয়োজন হলে মানুষ পেতে পাবেন। Blood bank গুলি রক্ত সংরক্ষনের জন্য রক্ত গ্রহণের কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকেন।
রক্ত গ্রহণ
বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান কিংবা ক্লাবের পক্ষ থেকে এখন গ্রামাঞ্চলে ও রক্তদান শিবির হয়ে থাকে। কোন উৎসব উপলক্ষেও আবার এই শিবির হয়। বিশেষ করে রক্তের অভাব ঘটে গ্রীষ্মকালে। প্রচন্ড দাবদাহে পেশাদার রক্ত দাতা ছাড়া অন্য কেউ রক্ত দিতে চায় না বলেই গ্রীষ্মকালে রক্তদান শিবির করতে উৎসাহ দেওয়া হয়।
কর্তব্য কেন
আমরা যেহেতু সমাজবদ্ধ জীব তাই অপরের প্রয়োজনে নিজের বাড়তি জিনিস দান করা নিঃসন্দেহে কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে। তাতে অপবের যেমন লাভ হয় তেমনি দাতাও মানসিক প্রশান্তি অনুভব করে। প্রত্যেক সমাজ সচেতন নীরোগ ব্যাক্তি রক্তদানের দ্বারা সামাজিক কর্তব্য সাধন করতে পাবেন। একটি মানুষের প্রাণ বাঁচবে আমার রক্তের দ্বারা এতে আমার শরীরে কোন ক্ষতি হবে না— এই মানসিকতা গ্রহণ করতে হবে আমাদের। এজন্য বিভিন্ন মেলায় উৎসব অনুষ্ঠানে রক্তদানের সুফল সম্বন্ধে প্রচার করা জরুরী। ছাত্র ও যুব সমাজকে এ বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে।
আরও দেখুনঃ