মহাত্মা গান্ধী রচনা নীচে সুন্দর ভাবে বর্ণনা করা হল এবং সবশেষে PDF দেওয়া হল।
সূচনা
ভারতবর্ষ শান্তিকামী দেশ। মহান সন্তান গান্ধীজী কে “ জাতির জনক ” বলা হয় কারণ হিংসা কে তিনি অহিংসা দিয়ে জয় করার মন্ত্র শিখিয়ে ছিলেন। ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধে ভারতের সাধারণ মানুষকে এই মন্ত্রের মধ্যে দিয়ে তিনি জাগিয়ে তুলেছিলেন।
জন্ম ও বংশ পরিচয়
মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ১৮৬৯ খ্রী: ২রা অক্টোবর পুজরাটের কাথিয়াবাড় প্রদেশের পোর বন্দরে হিন্দু মোধ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা করমচাঁদ উত্তমচাঁদ গান্ধী ও মাতা পুতলী বাই। গান্ধীজির পূর্বপুরুষগণ বংশানুক্রমে কাথিয়াবাড় প্রদেশের পোরবন্দর নামক স্থানের দেওয়ান ছিলেন। পারিবারিক আদর্শের বেদি মঞ্চেই তাঁর মহৎ জীবনের দীক্ষা, পিতার তেজস্বিতা, সত্যনিষ্ঠা ও বুদ্ধি এবং মাতার ধর্মপ্রানতা, ক্ষমা, করুনা সহিষ্ণুতা প্রভৃতি মানবিক গুন তিনি উত্তরাধিক।
শিক্ষাজীবন
মহাত্মা গান্ধী ছাত্র জীবনে মাঝারি মানের ছাএ ছিলেন ১৯ বছর বয়সে তিনি রাজকোটের একটি স্থানীয় স্কুলে ভর্তি হন এবং ১১ বছর বয়সে রাজকোটের একটি উচ্চবিদ্যালয়ে এত হন। ১৮৮৭ সালে ১৮ বছর বয়সে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৮৮৮ সালে গুজরাটের ভাবনগরে সামালদাস কলেজে ভর্তি তাঁর পরিবারের ইচ্ছা ছিল তাঁকে আইনজীবি করার সেই ইচ্ছা পূরণ করতে ১৮৮৮ সালের ৪ঠা সেপ্টেম্বর ব্যারিস্টারি পড়ার জন্য ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনে যান। এরপর ১৮৯১ সালে তিনি ব্যারিস্টারি পাশ করে তিনি দেশে ফিরে আসেন।
কর্মজীবন
বিলেত থেকে ব্যারিস্টারি শিক্ষায় সফলতা লাভের পর আইনজীবি হিসাবে কাজ করতে থাকেন তার পরবর্তীতে আব্দুল্লা এন্ড সন্স এর আইনজীব হিসাবে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করেন যা গান্ধীজির জীবনে এনে দেয় নাটকীয় পরিবর্তন। এখানে তিনি ভারতীয় ও কৃষ্ণাদের প্রতি সাধারণত বৈষম্যের স্বীকার হন ভারতীয়দের অধিকার সচেতন করে তুলতে ১৮৯৪ সালে নাটাল ইন্ডিয়ান কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা করেন। সেখানকার ভারতীয়দের নিয়ে রাজনৈতিকভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে কৃষ্ণাঙ্গ – শ্বেতাঙ্গ আন্দোলন শুরু করেন। এরপর ১৯১৫ খ্রী: ৯ই জানুয়ারী ভারতবর্ষের পুনরায় প্রত্যাগমন করার মাধ্যমে সক্রিয়ভাবে ভারতীয় রাজনীতিতে অংশ গ্রহণ করেন।
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে ভূমিকা
দক্ষিণ আফ্রিকাতে ২১ বছর কাটানোর পর ১৯১৫ সালের ৯ই জানুযারী গান্ধী ভারতে ফিরে আসেন। এইজন্য ওই দিনটিকে প্রবাসী ভারতীয় দিবল হিসাবে পালন করা হয়, গান্ধীর ভারতীয় রাজনীতি এবং ভারতীয় জনগণের সাথে পরিচয় হয় গোপালকৃষ্ণ গোখলের মাধ্যমে, যিনি তৎকালীন একজন সম্মানিত কংগ্রেস নেতা ছিলেন, গান্ধীর প্রথম বড় কৃতিত্ব ছিল ১৯১৮ সালে যখন তিনি বিহারের চম্পারণ ও খেদা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। এছাড়াও তিনি ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলন, আইন অমান্য আন্দোলন, স্বরাজ এবং ভারত ছাড়ো আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন।
গান্ধীজির প্রয়ান
সবশেষে ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট ভারতবসে ইংরেজ শাসনের অবসান ঘটিয়ে স্বাধীন স্বাধীনতা আন্দোলনকে ব্যর্থ করতে ইংরেজরা যে দ্বি-জাতি তত্বের বিষ প্রয়োগ করেছিল তার থেকে দেখা দিয়েছিল সামুদায়িক দাঙ্গা, গান্ধীজি তা প্রতিহত করতে পারলেন না। দেশ দুই ভাগে বিভক্ত হল, ভারত ও পাকিস্তান, এতে গান্ধিজী অনেক আঘাত পান। তিনি সর্বদাই চেয়েছিলেন হিন্দু মুসলিমের ঐক্য ভারত, এক মৌলবাদী হিন্দু প্রতিষ্ঠান·গান্ধীজিকে মুসলমান তোষনবাদী বলে অভিহিত করেন ১৯৪৮ সালের ৩০ শে জানুযার এদের মধ্যেই কোনো আততায়ী দ্বারা গুলিবিদ হন গান্ধিজী।
উপসংহার
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ তাকে মহাত্মা বলে ডাকতেন। কারণ,সত্য, প্রেম, ত্যাগ সেবা ও অহিংসাকে জীবনের মূলমন্ত্র মেনে তিনি সারাটা জীবনই খুব সহজ ও সরল জীবনযাপন করতেন। আচার-আচরণে নির্ভীকতা ও ব্যক্তিত্ব প্রকাশে | তিনি জনগণের বাপুজী হলেও ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন সার্থক কর্ণধার। দেশের জন্য তাঁর অবদানের জন্য তিনি দেশবাসীর কাছে চির অমর হয় আছেন।
Download PDF : মহাত্মা গান্ধী রচনা
Mahatma Gandhi Essay FAQ:-
1. মহাত্মা গান্ধীর স্ত্রীর নাম কি?
মহাত্মা গান্ধীর স্ত্রীর নাম কস্তুরবা গান্ধী।
2.মহাত্মা গান্ধী জন্ম কবে হয়েছিল?
১৮৬৯ খ্রী: ২রা অক্টোবর মহাত্মা গান্ধী জন্ম গ্রহণ করেন।
3. মহাত্মা গান্ধী কি নামে পরিচিত?
মহাত্মা গান্ধী ভারতের বিসমার্ক নামে পরিচিত।
আরও দেখুনঃ