গ্রীষ্মকাল রচনা ক্লাস 6 এর একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ রচনা। নীচে সুন্দর ও সরল ভাবে গ্রীষ্মকাল রচনা বর্ণনা করা হল।
ভূমিকা
বছরের সবচেয়ে উষ্ণতম কাল হল গ্রীষ্মকাল আমাদের দেশে গ্রীষ্মকাল বলতে বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাস কে বুঝায় । এই সময় সুর্যের তাপমাত্রা এতই পখর হয় যে দিনের বেলা চলাচল দুষ্কর হয়ে ওঠে । দুপুরে বাড়ির বাইরে যাওয়া যায় | না। সূর্যের তাপ প্রচন্ড বেড়ে যায়। চারিদিকে বিরাজ করে গরম আবহাওয়া এবং অস্বস্তিকর পরিবেশ।
প্রাকৃতিক অবস্থা
গ্রীষ্মকালে বাতাস হয় শুষ্ক তাই বারবার তৃষ্ণা পায়। মানুষ দিনের বেলা যথাযথ পরিশ্রম করতে ব্যাহত হয়। বারবার ঘামে শরীর ভিজে যায়। কৃষকেরা মাঠ ত্যাগ করে ছায়ার আশ্রয় নেয়। চারিদিকে যেন রুদ্র ভৈরবের আগুনের ফোয়ারা বিচ্ছুরিত হয়। তার ভয়াল তেজে যেন সকল খাল, বিল, পুকুর, ডোবা, কুপ ইত্যাদির জল শুষে নিতে থাকে। তাছাড়া কখনো কখোনো কাল বৈশাখের কারনে অনেক ঘরবাড়ি ও সম্পত্তির ক্ষতিসাধন হয়।
গ্রীষ্মের ফলমূল
গ্রীষ্মকাল ফুলের ঋতু । গ্রীষ্মকালে অনেক রকমের ফলমূল পাওয়া যায়। এই সময় আম, কাঠাল, জাম, তরমুজ, লিচু প্রভৃতি মিষ্টি ফল পাওয়া যায় । বিভিন্ন সুগন্ধি ফুল যেমন বেল, জুই, চাপা, গন্ধরাজ প্রভৃতি ফুটে। শাক সবজির মধ্যে পাওয়া যায় পুইশাক, কুমড়ো, পটল, ঝিঙে প্রভৃতি।
গ্রীষ্মের উৎসব
পচিসে বৈশাখ রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন পালন বাঙালির বড়ো উৎসব। এছাড়া পয়লা বৈশাখ ও জামাই ষষ্ঠী গ্রীষ্মকালে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
উপকারিতা
গ্রিষ্মের সময় দিনের বেলা অনেক লম্বা হয়। তাই বাইরে ঘোরাঘোরি এবং কাজের জন্য অনেক সময় পাওয়া যায়। বিভিন্ন ফল মূল উপভোগ করা দারুন আনন্দের।
অপকারিতা
গ্রীষ্মের প্রচন্ড উত্তাপে শুকিয়ে যায় নদী নালা। চারিদিকে দেখাযায় জলাভার। সকলের হাহাকার শোনা যায় জলের জন্য । ফলে মানুষের জলের জন্য খুব কষ্ট হয়। দূষিত জল পান করে মানুষের নানারকম রোগ হয়। তাপপ্রবাহের ফলে মানুষের সানট্রোক, ডিহাইজেশন, ডাইরিয়া ইতাদি সমস্যা দেখা যায়।
উপসংহার
গ্রীষ্মকাল মানুষের সবচেয়ে কষ্টের ঋতু। কিন্তু এর মধ্যেই নববর্ষ উৎসব,জামাইষষ্ঠী, | রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন মানুষের মনে এনে দেয় এক আনন্দের অনুভূতি। বিদ্যালয়ের গীষ্মকালীন ছুটিকাটাতে অনেকে পরিবারের সাথে পাহাড় বা সমুদ্রে বেড়াতে যেতে পছন্দ করে। বর্ষা ঋতুর আগমনে মানুষ আবার নতুন ছন্দে মেতে ওঠে।
আরও পড়ুনঃ