দূরদর্শন বর্তমানে বহুল প্রচলিত মাধ্যম এর মাধ্যমে আমরা আজ দেশ- বিদেশের খবর জানতে পারি। দূরদর্শন রচনা স্কুলের পরীক্ষার একটি গুরুত্ব পূর্ণ রচনা। তাই দূরদর্শন রচনা বা টেলিভিশন রচনা নিচে সুন্দর ভাবে বর্ণনা করা হল।
ভূমিকা
দূরদর্শন বিজ্ঞানের এক উজ্জ্বল আবিষ্কার। এর ইংরেজি নাম টেলিভিশন,সংক্ষেপে বলা হয় টি.ভি। ‘টেলিভিশন’ এই কথাটির ‘টেলি’ শব্দের অর্থ দূর এবং ‘ভীষণ’ শব্দের অর্থ দর্শন। এক কথায় দূর দর্শন।
আবিষ্কার
১৯২৬ সালে স্কটল্যান্ডের বিজ্ঞানী জন লোগী বেয়ার্ড এক বাড়ি থেকে পাশের বাড়ির পর্দায় মানুষের ছবি পাঠাবার কৌশল বার করেন। এর জন্য তিনি যে যন্ত্র তৈরি করেন সেটিই টেলিভিশন। তারপর ১৯৩০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে দূর দর্শনের সম্প্রচার শুরু হয়। ভারতের দূরদর্শন চালু হয় ১৯৫৯ সালে দিল্লিতে।
দূরদর্শনের সুফল
দুরদর্শন একটি শক্তিশালী গণমাধ্যম এর মাধ্যমে আমরা আজ দেশ- বিদেশের খবর জানতে পারি। দুরদর্শন গান নাটক, চলচ্চিত্র, খেলা ইত্যাদি পরিবেশন করে আমাদের আনন্দ দেয় এছাড়া এর মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, জীবজন্তু ও মানুষের জীবনযাত্রা,আবহাওয়ার পূর্বাভাস, এবং ইতিহাস,ভূগোল, অর্থনীতি, বিজ্ঞান এর নানা আবিষ্কার প্রভৃতি সম্পর্কে জানতে পারি। এতে আমাদের জ্ঞান আরো বৃদ্ধি পায়।
দূরদর্শনের কুফল
দূরদর্শনের যেমন অনেক সুফল রয়েছে তেমনি এর কুফল ও অনেক রয়েছে। বিশেষত অধিক দূরদর্শন প্রীতি ছাত্রসমাজের বিরূপ প্রভাব ফেলে।এতে তাদের পড়াশোনার ক্ষতি হয়।দুরদর্শন মানুষকে অলস ও কর্মবিমুখ করে তুলে। চোখের ক্ষতি সাধন করে। বিপদজনক দৃশ্য নকল করতে গিয়ে অনেক শিশুর জীবন বিপন্ন হয়।
উপসংহার
দূরদর্শন জনশিক্ষা বিস্তারে সবচেয়ে শক্তিশালী গণমাধ্যম। এর পরিচালনার ক্ষেত্রে নজর দিতে হবে। দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থে দূর্দশনকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে হবে। শিশু কিশোর মনে বিরূপ প্রভাব ফেলে এমন চিত্র প্রদর্শন বন্ধ করতে হবে। বর্তমানে বেসরকারি চ্যানেলের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। কিন্তু অনুষ্ঠানের মানের যাতে উন্নতি ঘটে সেদিকে নজর দেওয়া দরকার।
আরও দেখুনঃ