তোমার প্রিয় উৎসব অথবা দুর্গাপূজা

তোমার প্রিয় উৎসব রচনা

ভূমিকা

 আমার প্রিয় উৎসব দুর্গা পূজা, বাঙালি সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ উৎসব,দেবী দুর্গার প্রতীক ঐশ্বরিক নারী শক্তির একটি মহৎ উদযাপন। এই উৎসবটি কেবল একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয় বরং একটি সাংস্কৃতিক বাহ্যিক অনুষ্ঠান যা সীমানা অতিক্রম করে এবং বিভিন্ন পটভূমির লোকদের একত্রিত করে, তাদের আনন্দ এবং ভক্তির চেতনায় একত্রিত করে।

পৌরাণিক তাৎপর্য

দুর্গা পূজার তাৎপর্যহিন্দু পুরাণে, বিশেষ করে দেবী দুর্গা এবং অসুর মহিষাসুরের মধ্যে যুদ্ধের গল্প।পুরান অনুসারে, মহিষাসুর, একটি শক্তিশালী রাক্ষস, ভগবান ব্রহ্মার কাছ থেকে একটি বর পেয়েছিলেন যা তাকে প্রায় অমর করে তুলেছিল। মহিষাসুর তার নতুন শক্তির সাহায্যে স্বর্গে এবং পৃথিবীতে সর্বনাশ করেছিলেন। দেবতারা, তাকে পরাজিত করতে অক্ষম, দেবী দুর্গার সৃষ্টি করে ঐশ্বরিক নারী শক্তির দিকে ফিরে যান। বিভিন্ন অস্ত্রে সজ্জিত এবং একটি সিংহের উপর আরোহণ করে, তিনি মহিষাসুরের সাথে নয় দিন ধরে যুদ্ধ করেছিলেন, শেষ পর্যন্ত তাকে পরাজিত ও বধ করেছিলেন।

পুজোর প্রস্তুতি

 পুজো শুরুর একমাস আগে থেকে পুজোর কেনাকাটা শুরু হয় দোকানে ভিড় জমিয়ে ওঠে। চারিদিকে  পুজো প্যান্ডেল এবং প্রতিমা তৈরির কাজ চলতে থাকে। আকাশে বাতাসে পুজোর গন্ধ ভরে ওঠে। পুজো যত এগিয়ে আসতে থাকে মন আনন্দে ব্যকুল হয়ে অথে। বিদেশে যারা কাজ করে তারা বারি ফেরার উদ্দেশ রহনা দেয়।

প্রতিমার বর্ণনা

আদ্যাশক্তি মহামায়া দেবী দুর্গা হলেন দশভুজা। দশ হাতে দশটি অস্ত্র ধারণ করে তিনি মহিসাসুর বধে নিরত। তাঁকে বহন করছে একটি সিংহ, দেবীর দক্ষিণে রয়েছে লক্ষ্মী ও গণেশ আর বামে রয়েছে সরস্বতী এবং কার্তিক। মাথার উপরে একটি বিশাল চালচিত্রে মোট ১৪ জন দেবদেবী ও অবতার বর্তমান।

পুজোর সময়

আমাদের এই পশ্চিমবঙ্গে শরৎকালে দুর্গাপূজা হয়। তাই এই উৎসবকে শারৎ উৎসব বলা হয়। শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে ঘট বসিয়ে পূজার সূচনা করা হয়। একে বলে “বোধন”।এরপর সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী, দশমী এই চারদিন ধরে পূজা চলে। পুজো শুরু হতেই মন আনন্দে মেতে ওঠে। ষষ্ঠী থেকে শুরু হয় ঠাকুর দেখতে যাওয়া। প্যান্ডেলে  গুলিতে মানুষের ভিড় ভরে ওঠে। এই করে চারদিন কেটে যায় তারপর দশমীর দিন রাত্রে মায়ের বিসর্জন দেওয়া হয় মন ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে।

উপসংহার

দুর্গাপূজা এমন একটি উৎসব যা সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষকে ধর্মীয় সীমানা অতিক্রম করে একত্রিত করে। সবাই পুজোর সময় দুঃখ ভুলে আনন্দে মেতে ওঠে।

আরও পড়ুন

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু রচনা

স্বামী বিবেকানন্দের রচনা 

Leave a Comment