ভূমিকা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যিনি “বিশ্বকবি” নামে পরিচিত ছিল। তিনি ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী যার প্রভাব বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনুরণিত। তিনি ছিলেন একজন বিশিষ্ট কবি, দার্শনিক, সঙ্গীতজ্ঞ, নাট্যকার এবং প্রথম অ-ইউরোপীয় যিনি 1913 সালে তাঁর কবিতার সংকলন “গীতাঞ্জলি” জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
জন্ম ও বংশ পরিচয়
১৮৬১ সালের ৭ মে জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম হয়। তাঁর পিতা ছিলেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং মা শ্রীমতি সারদা দেবী। তিনি ছিলেন তাঁর পিতামাতার চতুর্দশতম সন্তান।
শিক্ষা
একটি বিশিষ্ট বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণকারী,রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রাথমিক শিক্ষা সেই সময়ের জন্য অপ্রচলিত ছিল। তিনি মূলত প্রাইভেট টিউটরদের দ্বারা হোমস্কুল করেছিলেন। ১৭ বছর বয়সে, তিনি ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনে ভর্তি হয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য ইংল্যান্ডে চলে যান। তিনি ভারতে ফিরে আসেন এবং, নিজের অভিজ্ঞতা এবং দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ১৯০১ সালে শান্তিনিকেতন নামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।
সাহিত্য–সাধনা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনাগুলি হল কবিতা, সঙ্গীত, সাহিত্য এছারাও তিনি রং তুলি দিয়ে আঁকতে ভালোবাসতেন। তাঁরউল্লেযোগ্য কবিতার সংকলন হল “গীতাঞ্জলি”। তার রচিত উল্লেখযোগ্য কাব্য – মানসী, সোনার তরী, চৈতালী, বলাকা, পুনশ্চ প্রভৃতি; উপন্যাস-চোখের বালি, ঘরে-বাইরে, যোগাযোগ, চতুরঙ্গ প্রভৃতি; নাটক– বিসর্জন, রক্তকরবী প্রভৃতি; ছোটগল্পগ্রন্থ- গল্পগুচ্ছ, এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সাহিত্যকর্ম লিখে গেছেন। তিনি শুধু একজন কবিই ছিলেন না, সঙ্গীতের একজন প্রখ্যাত রচয়িতাও ছিলেন। তিনি “রবীন্দ্র সঙ্গীত” (ঠাকুরের গান) নামে পরিচিত গানের একটি বিশাল সংগ্রহ তৈরি করেছেন, যার সংখ্যা এখন ২০০০ টিরও বেশি। তিনি ভারতের জাতীয় সঙ্গীত “জন গন মন” রচনা করেন।
উপসংহার
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৭ আগস্ট, ১৯৪১ সালে মারা যান। তিনি ৮০ বছর বয়সে কলকাতায় (বর্তমানে কলকাতা) তার পারিবারিক জমি জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়িতে মারা যান। ঠাকুরের মৃত্যু একটি যুগের সমাপ্তি চিহ্নিত করেছে, কিন্তু একজন কবি, দার্শনিক, সঙ্গীতজ্ঞ এবং সাংস্কৃতিক আইকন হিসেবে তাঁর উত্তরাধিকার তাঁর চিরস্থায়ী কাজ এবং সাহিত্য ও শিল্পে অবদানের মাধ্যমে বেঁচে আছে।
গাছ আমাদের বন্ধু রচনা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা ১০ লাইন
১. ১৮৬১ সালের ৭ মে জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম হয়।
২. তাঁর পিতা ছিলেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং মা শ্রীমতি সারদা দেবী।
৩. ছোট বেলা থেকেই তিনি কবিতা লেখার প্রতি আগ্রহি ছিলেন।
৪. ১৭ বছর বয়সে তিনি পড়াশোনা করার জন্য ইংল্যান্ড যান।
৫. তিনি হলেন একজন চিত্রশিল্পী, দার্শনিক, মুক্তীযোদ্ধা এবং সঙ্গীত শিল্পী।
৬. তিনি ভারতের জাতীয় সঙ্গীত জনগন মন এবং বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত আমার সোনার বাংলা লিখেছেন।
৭. তিনি ১৯১৩ সালে “গীতাঞ্জলির” কাব্যগ্রন্থের জন্য নোবেল পুরস্কার পান।
৮. ১৯০১ সালে তিনি শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠা করেন।
৯. তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য কাব্য গুলি হল – মানসী, সোনার তরী, চৈতালী, বলাকা, পুনশ্চ প্রভৃতি।
১০. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৭ আগস্ট, ১৯৪১ সালে মারা যান।
আরও পড়ুনঃ