নমস্কার বন্ধুরা, আমরা আজ প্লাস্টিক ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে একটি পোস্ট প্রস্তুত করেছি আশা করি সবার ভালো লাগবে।
প্লাস্টিক কি?
প্লাস্টিক এমন বস্তু যা কোন সিন্থেটিক বা আধা-সিন্থেটিক জৈব যৌগ দ্বারা তৈরি। কম খরচ, সহজ উৎপাদনযোগ্যতা, বহুমুখীতা, জলের সাথে সংবেদনহীনতা ইত্যাদি কারণে প্লাস্টিকের ব্যবহার বহুমুখী। প্লাস্টিকের কাঁচামালের প্রধান উপাদান হল রজন নামক পলিমার ম্যাট্রিক্স। প্লাস্টিকের কাঁচামালের একটি বড় অংশ অপরিশোধিত তেল থেকে বের করা হয়ে থাকে।
প্লাস্টিক ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা
প্লাস্টিক ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা গুলি হল-
সুবিধা :
লাইটওয়েট : সম্ভবত প্লাস্টিকের সর্বাধিক বেনিফিটের মধ্যে একটি হল লাইটওয়েট। যার কারনে কমার্শিয়াল সকল পন্যের মোড়কজাত করনে প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া মুদিখানা ও কাচা-বাজারের পন্যে পরিবহনে ক্ষেত্রে প্লাস্টিকের ব্যাগের ব্যবহার সর্বত্র।
সস্তা : প্লাস্টিকের জনপ্রিয়তার অন্যতম প্রধান কারন এটি খুবই সস্তা।
টেকসই : প্লাস্টিকের টেকসই ধর্মটি কারনে নানা ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা যায় ৷ প্লাস্টিক বহুমুখী কর্মশক্তিসম্পন্ন৷
পুনর্ব্যবহারযোগ্য : প্লাস্টিকের অনেক পণ্য পুনর্ব্যবহার করা যায়। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের ব্যবহার করা পণ্যগুলোর বেশী ভাগই প্লাস্টিকের তৈরী।
গন্ধহীন : প্লাস্টিকের আরো একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য হল এর গন্ধহীনতা।
অপরিবাহী ও তাপরোধী : প্লাস্টিক অপরিবাহী ও তাপরোধী। তাই বৈদ্যুতিক তার থেকে শুরু করে। বৈদ্যুতিক সকল সরঞ্জাম তৈরীতে প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়।
বতর্মান আধুনিক সভ্যতার এই যুগে প্লাস্টিক বিহীন আমাদের এই সভ্যতা কল্পনা করা যায় না।
অসুবিধা :
প্লাস্টিক দ্রব্যের অনেক সুবিধা থাকলেও এর কিছু অসুবিধাও রয়েছে। প্লাস্টিক ব্যবহারের প্রধান সমস্যা ইহা বিয়জিত হয় না এবং পরিবেশকে দূষিত করে। অধিকাংশ প্রাকৃতিক উপাদান মাটির ব্যাকটেরিয়া দ্বারা বিযোজিত হয় কিন্তু প্লাস্টিক দ্রব্য ব্যাকটেরিয়া দ্বারা বিযোজিত হয় না। প্লাস্টিক এই ধর্মের কারনে প্লাস্টিক বর্তমানে পরিবেশ দূষণের অন্যতম প্রধান কারন। প্লাস্টিকের এই দূষণের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না সাগর- মহাসাগর, নদী-নালা এবং কৃষি ভূমি। অনেক ক্ষেত্রে প্লাস্টিককে পুড়িয়ে শেষ করা হয় কিন্তু এতে বিষাক্ত ধোঁয়া (হাইড্রোজেন ক্লোরাইড, অ্যালডিহাইড, হাইড্রোজেন সায়ানাইড) উৎপন্ন হয়। এ সকল গ্যাস মানুষের শরীরে ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি করে।
আরও দেখুনঃ