ভূমিকা
বাংলাদেশের প্রান তার প্রাচীন শস্যশ্যামলা, নদী দিয়ে ঘেরা এদেশের সঠিক জীবনকে যদি অনুভব করতে হয়, তাহলে তাকে খুঁজে পাওয়া যাবে শহরের বিষাক্ত নিশ্বাস থেকে দূরে কোনো অচিনপুরে।
আমার গ্রাম দেখা
গত বছর মায়ের সঙ্গে গিয়েছিলাম হুগলির সপ্তগ্রামে মাসির বাড়িতে। সেই প্রথম আমার গ্রামে যাওয়া। গ্রামটিতে মনে হল এক মধুর ও সরল পরিজীবনের মাঝে এসে পড়েছি। সত্যিই মনে হল পল্লি বা গ্রাম যেন আমাদের মা। এ যেন তার সন্তানের মতো করে গ্রামের মানুষজনকে প্রতিপালন করছে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
গ্রামের ছোটো ছোটো কুঁড়েঘরগুলি গাছালির সবুজ বনানীতে ছাওয়া। গ্রামের গেরুয়া রাঙা আঁকা-বাঁকা পথ গ্রাম ছাড়িয়ে শহরের যাবার পথে মিশে গেছে। মরনে ফাকা মাঠ, সবুজ ঘাস, গাছপালা, বিরাট আকাশ, নদীর কল্লোল, পাখির গান। এই খোলা-মেলা উন্মুক্ত পরিবেশে এটা যেন ভরে গেল। গ্রামের সকালটি বড়োই মধুর আবার সন্ধ্যায় ঝিঁঝিঁর শব্দে নিবিড় হয়ে আসে পল্লি প্রকৃতি। তখন বরের বৈদ্যুতিক আলোয় উজ্জ্বল পরিবেশের কথা মনে পড়লেও গ্রামের পরিবেশটি যেন বড়োই শান্ত মনে হচ্ছিল। বনধারণের জন্য টাটকা ফলমূল, শাকসবজি পল্লিগ্রামে প্রচুর, দেখলাম শস্য পরিপূর্ণ ধানখেত।
গ্রামের উৎসব
গ্রামটিতে প্রায় সারা বছর আনন্দ উৎসব লেগে থাকে। বাঙালির বারমাসে তেরো পার্বণ শহরে আমরা সেভাবে না অনুভব করলেও গ্রামে সবসময়ই তাঁর ছোঁয়া লাগে। সবাই আনন্দ উপভোগ করে। পুজোপলক্ষ্যে যাত্রানুষ্ঠান ও মেলা বসে।
উপসংহার
মা-র ডাকে আমার চেতনা ফিরল। খাওয়াদাওয়া শেষ করে আবার ফিরে যেতে হবে। আমার শুধুই মনে হচ্ছিল এই প্রকৃতি এত সুন্দর হয়ে আছে — মানুষের আধিপত্য ঘটেনি বলেই। ফিরে আসার সময় গ্রামের সুনিবিড় পরিবেশের টান মনকে ছুঁয়ে যাচ্ছিল। মনে পড়ছিল সেখানকার মানুষজনের আন্তরিক ব্যবহারের কথা।
আর পড়ুনঃ