durga puja paragraph in bengali
ভূমিকা
বাংলার মানুষের বারো মাসে তেরো পার্বন, সারা বছর জুড়েই বাঙালীর জীবন নানা প্রকার উৎসবের আলোয় মুখরিত হয়ে থাকে। এই সমস্ত উৎসবের মধ্যে দূর্গাপূজা হলে বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব। বর্ষার শেষে সোনালী রোদে বসুন্ধরা ঝলমল করে ওঠে, ফসল পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে, সরোবরে পদ্মফুল ফোটে, চারিদিকে কাশফুলে ভরে ওঠে, তখন আকাশে-বাতাসে বেজে ওঠে আনন্দময়ী মা দুর্গার আগমনি বার্তা।
পৌরাণিক কাহিনি
প্রাচীন কালে রাজা সুরষ তাঁর হারানো রাজ্য ফিরে পাওয়ার জন্য বন্তকালে দেবী দুর্গার পূজা করেছিলেন, বসন্ত কালে তিনি এই পূজা করেছিলেন বলে একে বাসন্তী পূজাও বলা হয়। এর পর শ্রীরাম রামচন্দ্র রাবনকে বধ করার জন্য শরৎ কালে এই পূজা করেছিলেন বলে একে শারদীয়া পূজা বলা হয়। এই শারদীয়া পূজাই বর্তমানে আমাদের দেশে বহুল প্রচলিত ।
দূর্গাপূজার সময়কাল
শারদীয়া দূর্গাপূজার সময়কাল বলতে বোঝায় প্রধানত আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের থেকে দশম দিন পর্যন্ত, দূর্গাপূজার এই পাঁচদিনকে যথাক্রমে দূর্গাষষ্ঠী, দূর্গাসপ্তমী, মহাঅষ্টমী, মহানবমী, এবং বিজয়া দশমী বলা হয়।
মহালয়া
মা দূর্গার পূজো শুর হওয়ার এক সপ্তাহ পূর্বে অমাবস্যার দিন পালিত হয় মহালয়া, মহালয়ার দিন ভোরবেলায় আমরা শুনতে পাই চণ্ডীপাঠ, সাথে সাথে মা দুর্গার নাটকীয় অনুষ্ঠান দেখি টিভিতে।
মা দূর্গার রূপের বর্ণনা
আদ্যশক্তি মহামায়া হলেন দশভূজা, দশ হাতে দশটি অস্রধারন করেন তিনি মহিষাষুর বধে নিরত। তাঁকে বহন করছে একটি সিংহ, দেবীর ডানদিকে রয়েছে লক্ষী ও গণেশ আর বামদিকে রয়েছে সরস্বতী ও কার্তিক,
পূজাবিবরণী
দূর্গাপূজা পাঁচ দিন ধরে চলে,ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও দশমী তিথিতে দেবীর আরধনা করা হয়। শরতের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে দেবীর বোধন ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে পূজা আরম্ভ হয়। তবে সপ্তমী থেকে মূল উৎসব শুরুহয়। তার পর অষ্টমী ও নবমী ধরে চলে দেবীর আরাধন, দশমীর দিন সন্ধ্যায় দেবীকে বিসর্জন দেওয়া হয়, সকলের মন তখন বেদনায় ভরে ওঠে। এর পর চলে বিজয় দশমীর আলিঙ্গন, প্রনাম ও শুভেচ্ছা বিনিময়।
উপসংহার
দুর্গাপূজা ধনী-দরিদ্র, উঁচু-নীচু নির্বিশেষে সকল সমাজের প্রতিটি মানুষ এই উৎসবের দিন গুলিতে সমস্ত দুঃখ ভুলে গিয়ে আনন্দে মেতে ওঠে। এর ফলে মানুষের মধ্যে এক পবিএ বন্ধনের সম্পর্ক স্থাপিত হয়।
Read more :