Chandrayaan 3 Bangla Rachana বর্তমানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ রচনা। তাই আজ আমরা সুন্দর ভাবে চন্দ্রযান ৩ বাংলা রচনা উপস্থাপিত করছি আশা রাখি সবার ভালো লাগবে।
ভুমিকা
চন্দ্রযান ৩ হল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত ভারতের চন্দ্রাভিযান কর্মসূচির অন্তর্গত তৃতীয় চন্দ্র অন্বেষণ অভিযান। এই অভিযানের উদ্দেশ্য হল চন্দ্রপৃষ্ঠে নিরাপদ ও সুরক্ষিত অবতরণ, রোভারের নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়ানোর সক্ষমতা যাচাই এবং বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পাদনা করা, চন্দ্রযান ৩ এর অবতরণ স্থল হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুকে বেছে নেওয়া হয়।
লঞ্চ
চন্দ্রযান-৩ শুক্রবার ১৪ জুলাই ২০২৩ অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে ২:৩৫ মিনিট উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। ৫ আগস্ট চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করে চন্দ্রযান-৩ । চন্দ্রযান-৩ চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে ২৩ আগস্ট ২০২৩ এ ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৬.০৪ মিনিটে অবতরণ করে।
অভিযানের প্রধান লক্ষ্য
ইসরোর বিজ্ঞানীরা চন্দ্রযান-৩ মিশনের প্রধান তিনটি লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন-
ক) চাঁদের পৃষ্ঠে ল্যান্ডার টিকে নিরাপদ এবং নমনীয়ভাবে অবতরণ করা
খ) চাঁদে রোভারের লোটারি ক্ষমতা পর্যবেক্ষণ এবং প্রদর্শন করা।
গ) চাঁদের গঠন আরো ভালোভাবে বোঝার জন্য চন্দ্রপৃষ্ঠে উপলব্ধ উপকরণ গুলির উপর পরীক্ষা চালানো।
অবতরণ স্থল নির্বাচন
চন্দ্রযান-৩ এর সম্ভাব্য অবতরণ স্থল গুলির জন্য কঠোর মানদণ্ড ছিল যেখানে বৈজ্ঞানিক আগ্রহ একটি কারণ ছিল। স্থানগুলিকে চন্দ্রের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলের মধ্যে থাকতে হয়েছিল। পৃথিবী থেকে দৃশ্যমান চন্দ্রপৃষ্ঠের অংশের পরিধিগুলিতে নয় এগুলিকে তুলনামূলকভাবে সমতল হতে হয়েছিল এবং ল্যান্ডার অবতরণ স্থলের কাছে পৌঁছালে স্থানগুলি থেকে আসতে না পারে এমন কোন প্রকার বস্তুর অনুপস্থিতি ল্যাংমুয়ার প্রোব (LP) দ্বারা নিশ্চিত করা হয়েছিল।
উৎক্ষেপণ যান ও মহাকাশ যান
চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণকারী এল. ভি. এম.-৩ রকেটকে এম-৪ হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়েছিল, এই মহাকাশযানটি প্রপালশন মডিউল, ল্যান্ডার (বিক্রম) ও রোভার নিয়ে গঠিত ছিল।
অর্থায়ন
ইসরো প্রকল্প টির প্রাথমিক অর্থায়নের জন্য অনুরোধ করেছিল ৭৫ কোটি টাকা, যার মধ্যে ৬০ কোটি টাকা যন্ত্রপাতি, সরঞ্জামাদি ও অন্যান্য ব্যয়ের জন্য। প্রকল্পের অস্তিত্বের বিষয়টি নিশ্চিত করে ইসরো সভাপতি কে. সিভান কে জানান অভিযানের ব্যয় হবে প্রায় ৬১৫ কোটি টাকা।
উপসংহার
২৩ শে আগস্ট ২০২৩ দিনটি ভারতবর্ষের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে, চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্যের পর উজ্জীবিত ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর বিজ্ঞানীরা, এই সাফল্যের নেপথ্যে যে সমস্ত বিজ্ঞানীগণ অগ্রগণ্য তারা হলেন শ্রীধর পানিকর সোমনাথ (ইসরোর চেয়ারম্যান), মুথাইয়া বনিতা (প্রোজেক্ট ডিরেক্টর), ভি নারায়নন, পি ভিরামুথুভেল প্রমুখ। ল্যান্ডার বিক্রমের অবতারণের সাফল্যে বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে মেতেছে সমগ্র ভারত।
বিজ্ঞান ও কুসংস্কার রচনা
FAQ:-
1. চন্দ্রযান 3 এর রকেটের নাম কি?
চন্দ্রযান 3 এর রকেটের নাম LVM3 M4।
2. চন্দ্রযান 3 এর খরচ কত?
চন্দ্রযান 3 এর আনুমানিক খরচ ৬২০ কোটি টাকা।
3. চন্দ্রযান ৩ উৎক্ষেপণের তারিখ ও সময়?
চন্দ্রযান-৩ শুক্রবার ১৪ জুলাই ২০২৩ অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে ২:৩৫ মিনিট উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল।
আরও দেখুনঃ