বনভোজন রচনা সহজ সরল ভাষায় সুন্দর ভাবে নীচে বর্ণনা করা হল।
ভূমিকা
বনভোজন একঘেঁয়েমি জীবন থেকে মুক্তি পেতে বনভোজনের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।রোজকার ব্যস্ত জীবন থেকে একদিন ছুটি নিয়ে সবাই মিলে একসাথে আনন্দ করে খাওয়ার নামই বনভোজন। সাধারনত শীতের শুরু থেকে বসন্তের শেষ পর্যন্ত চলে এই বনভোজন।
বনভোজন কি?
বনভোজন মানে বনে ভোজন অর্থাৎ সবাই একত্রিত হয়ে বনে বসে ভোজন করা৷ অনেক সময় আমরা একঘেঁয়েমি কাটাতে উৎসবের আয়োজন করি। সকলে মিলে একটা নির্দিষ্ট জায়গা বেছে নিয়ে নির্দিষ্ট দিনে আনন্দে একত্রে খাওয়ার ব্যবস্থা করি এরই নাম বনভোজন। আমরা সাধারণত শীতকালেই বেশি বনভোজন করে থাকি।
বনভোজনের প্রস্তুতি
আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ এবং আমরা সকল ছাত্র-ছাত্রীরা আলোচনা করে স্থির করি ২৫শে ডিসেম্বর বনভোজন করবো। শিক্ষক শিক্ষিকাগণ বললেন, বিদ্যালয়ের কাছাকাছি দামোদর নদীর চূড়ায় বনভোজন করা হবে। আমরা সকলেই খুব খুশি। পরদিন থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল। বনভোজনের জন্য নির্দিষ্ট টাকা জমা দেওয়ার ধুম লেগে গেল প্রস্তুতির প্রথম দিন থেকেই।
বনভোজনের বর্ণনা
অবশেষে উপস্থিত হল আমাদের বহু আকাঙ্খিত সেই দিনটি। আগের দিন সন্ধ্যাতেই রান্নার জন্য চাল, সবজি, তেল, মশলা বাজার করে নিয়েছিলেন স্কুলের দুজন শিক্ষক মহাশয়, আমরা সকল ছাত্র-ছাত্রী সকাল আটটার মধ্যে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হলাম। নটার মধ্যে গাড়িতে হাঁড়ি, কড়া, খুন্তি, চাল, সবজি, মাছ- মাংস এবং আনুষঙ্গিক প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে নিলাম সকলে মিলে। দশটার মধ্যে আমরা বনভোজনের স্থানে পৌঁছালাম। জিনিসপত্র নামিয়ে নেওয়ার জন্য ব্যস্ত কয়েকজন। আবার কয়েকজন টিফিন প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। টিফিন সেরে রান্নার ব্যবস্থা হল। আমরা এবং দিদিমণিরা তরকারির সবজি কাটার কাজে একটু সাহায্য করলাম, রান্না শেষ হতে প্রায় দুপুর গড়িয়ে গেল, তারপর সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করলাম।
উপসংহার
রান্না, প্রস্তুতি, হৈ হুল্লোড়, নাচ, গান, খেলাধূলা, খাওয়া দাওয়া প্রভৃতির মধ্য দিয়ে দিনটা যে কিভাবে কেটে গেল বুঝতেই পারলাম না। নদীতীরের প্রকৃতির স্পর্শ ছেড়ে বাড়ি ফিরতে মন কিছুতেই চাইছিল না। তবুও ফিরতে তো হবেই। ফেরার পথে মনটা বিষাদে ভরে গেল।
আরও দেখুনঃ