বট গাছের বৈশিষ্ট্য এবং বট গাছ রচনা নীচে সজ সরল ভাষায় বর্ণনা করা হল।
বট গাছের রচনা
ছায়াতরু বটবৃক্ষ বহু দিনের সাক্ষী হয়ে, অনেকখানি জায়গায় ছাতার মতো ডালপালা ছড়িয়ে বটবৃক্ষ দাঁড়িয়ে থাকে। গাছের শিকড় গুলো মাটির উপরে অনেক অংশে বেরিয়ে থাকে। গাছের নামাল গুলি অশরীর আত্মা এর মত দোল খায়। মোটা গুড়ির চারিদিকে নামালের রেখা হয়ে যায়। পাখির বিষ্ঠা হতে জন্ম নিয়ে দেবতার আশীর্বাদ পেয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকে।বেশিভাগই পুরানো পাকা বাড়ির ফাটালে বা শ্মশানের প্রান্তে নদীর পাড়ে গায়ের রাস্তার ধারে বটগাছকে জন্মাতে দেখা যায় ।বটবৃক্ষর তলায় মানুষ গড়ে তোলে কখনো মন্দির। কখনো শ্মশান ।এই বটবৃক্ষ শীতের শেষ হলেই শুরু করে তার পাতা ঝরানো। তারপর নতুন পাতা গজায়। ফুল ধরে। ফল ধরে। সেই ফল খেতে বিভিন্ন পাখি এসে ভিড় জমায় বটবৃক্ষে। পাখির শব্দ ধ্বনিত হয় বটবৃক্ষ তলা ।তার বুকে আশ্রয় নেয় কাঠবিড়ালি, বিভিন্ন পাখি ।প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে বাঁচার জন্য নামাল দিয়ে শক্ত করে মাটি কামড়ে ধরে থাকে। মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু সময় পেরিয়ে গেলেও বটবৃক্ষ একই জায়গায় যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকি তার বয়স কেউ সঠিক বলতে পারেনা।
বট গাছের বৈশিষ্ট্য
1.বটগাছ ভারতের জাতীয় গাছ।
2. এর অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে।
3. প্রখর রোদে এই গাছ আমাদের শীতল ছায়া দেয়।
4. বট গাছ অনেক পাখির বাসা।
5. এই গাছের খুব দীর্ঘ জীবনকাল আছে.
6. এর খুব শক্তিশালী শিকড় রয়েছে।
7. এর ফল ছোট এবং লাল রঙের।
8. হিন্দু ধর্মে এর গুরুত্ব অপরিসীম।
9. বটগাছ আমাদের পরিবেশের জন্য খুবই ভালো।
10. আমাদের পরিবেশকে সতেজ ও সবুজ রাখতে আমাদের অবশ্যই বটগাছ লাগাতে হবে।
আরও দেখুনঃ
FAQ:-
1. বট গাছের বৈজ্ঞানিক নাম কি?
বট গাছের বৈজ্ঞানিক নাম ফাইকাস।
2. বট গাছের উচ্চতা কত?
বট গাছের উচ্চতা সাধারণত ৩০-৪০ ফুট হয়।
3. ভারতের জাতীয় গাছ কোনটি?
ভারতের জাতীয় গাছ বট গাছ ।