একটি পাহাড় ভ্রমণের অভিজ্ঞতা রচনা

একটি পাহাড় ভ্রমণের অভিজ্ঞতা রচনা বা দার্জিলিং ভ্রমণের সম্পর্কে নীচে সুন্দর ভাবে সহজ সরল ভাষায় বর্ণনা করা হল।

ভূমিকা

অচেনাকে চেনা অজানাকে জানার ইচ্ছা বা চেষ্টা আমাদের সহজাত বৈশিষ্ট। আমরা সকলেই পিসির বাড়ি মাসির বাড়ি অথবা যেকোনো আত্মীয়স্বজনের বাড়ি বেড়াতে গিয়েছি। কিন্তু দূরের কোনো ভ্রমন আমাদের সকলের কাছে অনেক দিনের আশা আকাঙ্ক্ষা তাই আমরা সকলেই চাই দূরের কোনো ভ্রমন যেতে এবং সেখানে গিয়ে আমরা আনন্দ ও সেই জায়গা টিকে উপভোগ করতে চাই।

স্থান নির্বাচন

যথাযথ স্থান নির্বাচন একটি সুন্দর ভ্রমনের অভিজ্ঞতা লাভের ক্ষেত্রে অতান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পাহাড়, নদী, সমুদ্র ও জল এই সবই আমার অত্যন্ত পছন্দের বিষয়। এবার আমার পরিবার দার্জিলিং ভ্রমণের স্থান হিসাবে বেছে নিয়েছিল।

 যাত্রা

১২ ই এপ্রিল ২০২৩ তারিখে দার্জিলিং ভ্রমণের জন্য বাবা মার সাথে বেড়িয়ে পরলাম প্রথমে ট্রেনে চেপে নিউ জলপাইগুড়ি এলাম, সেখান থেকে ন্যারো গেজ ট্রেনে চাপলাম পাহাড়ি পথে ট্রেন চললো একে বেঁকে, মেঘলা আকাশ খুব ঠান্ডা বোধ হতে লাগলো। বিকাল ৫ টায় দার্জিলিং এসে পৌঁছলাম।

অভিজ্ঞতা

দার্জিলিং এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই দেখে আমাদের সকলের মন আনন্দে ভরে গিয়েছিল ও তার সাথে আমাদের চোখ জুড়িয়ে গিয়েছিল।

বর্ণনা

প্রথম দিন

দার্জিলিং-এর প্রাকৃতিক দৃশ্য অপূর্ব।এখানকার বাড়িঘরগুলো সাজানো-ছবির মত সুন্দর দেখায়। এই কুয়াশা তো একটু পরেই রোদ, আবার কুয়াশা । বিচিত্র আবহাওয়া এখানকার রাজভবনটি সুন্দর । এছাড়া আছে মিউজিয়াম বোটানিকাল গার্ডেন, কাঞ্চনজঙ্ঘা যার বুকে সূর্যোদয় দেখা এক ভাগ্যের ব্যাপার পৃথিবীতে যে এত সুন্দর কিছু আছে তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন কত বিচিত্র রঙের বাহার।

দ্বিতীয় দিন

ভ্রমনের দ্বিতীয় দিনে আমরা ব্রিটিশ আমলের চা বাগান দেখতে গেলাম। কি সুনিপুন দক্ষতার সঙ্গে পাহাড়ের গায়ে ধাপ কেটে এখানকার অধিবাসীরা চা চাষ করে থাকেন তা আমাদের সকলকে অবাক করে দিলো। দার্জিলিংয়ের এই চা তার অতুলনী স্বাদ ও গন্ধের কারনে ভারতবর্ষে তো বটেই, ভারতের বাইরেও বিশেষ আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেছে।

খাবার

দার্জিলিংয়ে সবচেয়ে ভালো লেগেছিলো এখানে তোরি মোমো এবং পাস্তা। এখানকার স্থানীয় বন মোরগের মাংসের স্বাদ এককথায় অতুলনিয়।  

উপসংহার

এই ভাবে কয়েকদিন প্রকৃতির কোলে কাটিয়ে আমরা নিজেদের জীবনে ফিরে আসলাম।ফিরে আশার জনা আমরা আকাশ পথকে বেছে নিয়েছিলাম যার অভিজ্ঞতা ছিল অতুলনীয় । এই ভ্রমনে আমি অনুভব করতে পারলাম দার্জিলিংকে দেওয়া পাহাড়ের রানী উপাধিটি মোটেই অতিশয়োক্তি নয়।

আরও দেখুনঃ

পুরী ভ্রমণের অভিজ্ঞতা রচনা

ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বন্ধুকে চিঠি

শরৎকাল রচনা

Leave a Comment