শরৎকাল রচনা Class1- 10 PDF

শরৎকাল রচনা নীচে সহজ সরল ভাবে বর্ণনা করা হল এবং সবশেষে PDF দেওয়া হল।

ভূমিকা

বর্ষার পর আসে শরৎকাল । ভাদ্র আশ্বিন এই দুই মাস নিয়ে হয় শরৎকাল। এই সময় বর্ষার কালো মেঘ আকাশ থেকে বিদায় নেয়।

পর্যায়কাল

ঋতুচক্রের তৃতীয় ঋতু শরৎ, ভাদ্র ও আশ্বিন এই দুই মাস নিয়ে শরৎকাল, ইংরাজী মাসের আগস্টের মধ্যভাগ থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যভাগ পর্যন্ত সময়কালকে শরৎ ঋতু বলে চিহ্নিত করা হয়। এই সময় অর্থাৎ ভাদ্র মাসে তাপমাত্রা বেশ কিছুটা বৃদ্ধি পায় সাথে আর্দ্রতাও সর্বোচ্চে পৌঁছায় কিন্তু আশ্বিন মাসের আবহাওয়া অত্যন্ত মনোরম।

শরৎকালের বৈশিষ্ঠ্য

শরৎ যে নিয়তই খুশিতে ভরপুর, হালকা চপল ছন্দ তার, মেঘ ও রৌদ্রের লুকোচুরি খেলতে খেলতে শরৎ আসে, একটু মেঘ এক পশলা বৃষ্টি, এক ফালক হাওয়া- পরক্ষনেই সোনালী রোদ্দুর, গাছের পাতায় রোদের ঝিকিমিকি, আকাশে পেজা তুলোর মতো টুকরো মেঘের ভেলা, আবার হয়তো খন্ড মেঘে ছেয়ে গেল আকাশ। এমনিভাবেই মেঘ আর রোদের খেলায় মেতে ওঠে।

শরৎকালের  উৎসব

শরৎ কাল এর মূল আকর্ষন দূর্গোৎসব বা দূর্গাপূজা, যা বাঙালীর প্রধান উৎসব। শরৎ ঋতুতে হয় তাই দূর্গাপূজাকে শারদীয় উৎসব বলা হয়। মা দূর্গার আগমনের জন্য বাঙালী অপেক্ষা করে থাকে সারা বছর ধরে। সেই অপেক্ষার প্রহর কাটিয়ে শরৎ কালে মা দূর্গা নিয়ে আসেন আনন্দ বাংলার ঘরে  ঘরে আকাশ বাতাস মুখরিত হয় মায়ের আগমনে ঢাকের বাদ্যিতে  বাদ্যিতে, উৎসবের আনন্দে বাঙালী হয় মাতোয়ারা দূর্গাপূজা ছাড়াও লক্ষীপূজা ও কালীপূজাও এই শরৎকালেই উদযাপিত হয়ে থাকে।

শরৎকালের   উপহার

শরৎকালে বনে-উপবনে শিউলি, উপবনে শিউলি, গোলাপ, বকুল মল্লিকা, কামিনী, মাধবী প্রভৃতি ফুল ফোটে, বিলে ঝিলে ফোটে পদ্ম, শাপলা আর নদীর ধারে ফোটে কাশফুল। এ সময় গাছে গাছে তাল পাকে। শরৎ মানে কৃষকের আশা নতুন ফসলের বর্ষায় অক্লান্ত পরিশ্রম করে বোনা বীজ শরৎে পায় প্রাণ।

উপসংহার

বাংলা ঋতুচক্রের ধারায় বসন্ত যদি ঋতুরাজ হয় শরৎ তবে ঋতুর রানী। মানুষের মনে আনন্দ জাগিয়ে ও মানুষে-মানুষে ভেদাভেদ ভুলিয়ে দিয়ে শরৎ কাল বিদায় নেয়। তাই শরৎ কাল সবার প্রিয় ঋতু।

Download PDF : শরৎকাল রচনা

আরও পড়ুনঃ

শীতকাল রচনা

বর্ষাকাল রচনা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা

Leave a Comment