নমস্কার বন্ধুরা, আজ আমরা তোমাদের জন্য প্রজাতন্ত্র দিবস রচনা নিয়ে একটি পোস্ট বর্ণনা করছি আশা করছি সবার ভালো লাগবে।
ভূমিকা
ভারত প্রায় দুশো বছর পরাধীন ছিল তখন ইংরেজরা এদেশ শাসন করত। স্বাধীনতার জন্য দীর্ঘ লড়াইয়ের পর, ভারত ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৫ই আগস্ট স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীনতা লাভের পর ভারতের সংবিধান বা শাসনতন্ত্র রচনার কাজ শুরু হয় ড. আম্বেদকরের নেতৃত্বে। এই সংবিধান রচনায় অংশগ্রহণ করেন ড. রাজেন্দ্রপ্রসাদ, জওহরলাল নেহেরু, ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আচার্য কৃপালনী, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রভৃতি।
ঐতিহাসিক পটভূমি
২৬শে জানুয়ারি দিনটিকে প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে স্থির করার পেছনে একটি ঐতিহাসিক কারণ আছে। ১৯২৯ সালের ৩১শে ডিসেম্বর পরাধীন যুগে জাতীয় কংগ্রেসের লাহোর অধিবেশনে স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে ভারতের ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল। ঐ অধিবেশনে স্থির হয়েছিল, ১৯৩০ সাল থেকে প্রতি বছর ২৬শে জানুয়ারি দিনটিকে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে উদযাপন করা হবে। পরবর্তীকালে ভারত স্বাধীন হল ১৫ই আগস্ট, কিন্তু ২৬শে জানুয়ারির গুরুত্ব স্বীকার করে ঐ দিন ভারতের সংবিধান কার্যকর করা হল। এভাবে জাতীয় জীবনে ২৬শে জানুয়ারি চিরস্মরণীয় হয়ে রইল।
প্রজাতন্ত্র দিবস পালন
প্রজাতন্ত্র দিবস অর্থাৎ ২৬শে জানুয়ারি সারা ভারতে শ্রদ্ধার সাথে পালন করা হয়। স্কুল-কলেজ, অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ক্লাব,অফিস, প্রভৃতিতে এই দিনটি পালন করা হয়। পতাকা উত্তোলন, মনীষীদের ছবিতে মাল্যদান, ভাষণ প্রভৃতির মাধ্যমে দিনটি পালন করা হয়। এছাড়া কোথাও কোথাও নাচ, গান, আবৃত্তি, অঙ্কন প্রতিযোগিতা প্রভৃতি অনুষ্ঠিত হয়। এই দিন স্কুল-কলেজ, অফিস- আদালতে ছুটি থাকে,
দিনটির গুরুত্ব
প্রতিটি স্বাধীন দেশ পরিচালিত হয় তাদের শাসনতন্ত্র অনুসারে, প্রজাতন্ত্র দিবস থেকে স্বাধীন ভারতের সংবিধান কার্যকর হয়েছে। অন্যের নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই ভারতের শাসনকার্য পরিচালিত হচ্ছে। ভারতের জনগণের কল্যাণের দিকে লক্ষ্য রেখে নির্ভয়ে দেশ প্রগতির পথে এগিয়ে চলেছে। তাই প্রতি বছর এই দিনটি শ্রদ্ধার সঙ্গে এবং উপযুক্ত মর্যাদার সঙ্গে পালন করা হয়।
আরও দেখুনঃ