আমার মা রচনা Class 1-5

সূচনা

মায়ের মতো আপন এ পৃথিবীতে আর কেউ নেই। মায়ের স্নেহের পরশে মুহূর্তে দূর হয়ে যায় সকল দুঃখ-বেদনা। সন্তানের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনার জন্য মায়ের কোনো তুলনা হয় না। মা প্রত্যেক সন্তানের কাছে সর্বশ্রেষ্ঠ।

শৈশব স্মৃতি

শৈশবকালে মা আমাকে মুখে মুখে ছড়া শেখাতেন। শৈশবের ছড়ার মধ্যে ‘আয় আয় চাঁদ মামা টিপ দিয়ে যা’– এ ছড়াটি আজও আমার কাছে শুনতে মধুর লাগে।

গৃহিণী রূপে মা

আমার মা একজন আদর্শ গৃহিণী। সংসারকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করেন তিনি। এ ব্যাপারে আমার মা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। মা খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠে নাস্তা তৈরি করেন। তারপর তিনি সারা দিন সুন্দরভাবে গৃহের সকল কাজকর্ম করেন।

দুঃখের সময়ে মা

আনন্দের দিনে মাকে আমি যেভাবে দেখি দুঃখের দিনেও মাকে দেখি হাস্যোজ্জ্বল। মা কখনও তার দুঃখ-কষ্ট কাউকে বুঝতে দেন না। তিনি নিজে কষ্ট করে আমাদের মুখে হাসি ফোটান। আমাদের কারো অসুখ হলে মা-ই সবচেয়ে বেশি দুঃখ পান। এমন কি সময়মতো বাসায় না ফিরলে আমার মায়ের উৎকণ্ঠার অন্ত থাকে না।

 আনন্দের দিনে মা

সন্তানের কোনো সাফল্যের সংবাদ জানতে পারলে মা-ই সবচেয়ে সবেচে বেশি খুশি হন। আমাদের স্কুলে কবিতা আবৃত্তির প্রতিযোগিতায় যেদিন আমি প্রথম পুরস্কার পেলাম সেদিন মায়ের আনন্দ আর ধরে না। খুশিতে স্কুলের সবাইকে মিষ্টি খাওয়ালেন। তাই আনন্দের দিনেও মায়ের কোনো তুলনা হয় না। আদর্শ মা-ই পারেন একজন আদর্শবান সন্তান গড়তে।

উপসংহার

স্বর্গ সম্পর্কে বিজ্ঞ মানুষেরা বলেন- মাতা ও মাতৃভূমি স্বর্গের চেয়ে গরিয়সী। মা ছাড়া সন্তান যেন সর্বহারা। তাই পৃথিবীতে মায়ের চেয়ে বড় আর কিছু নেই। মাগো মাগো মা ওগো মা আমারে বানাইলি তুই দিওয়ান।

আরও দেখুনঃ

বনভোজন রচনা

আমাদের বিদ্যালয় রচনা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা ছোটদের

Leave a Comment