স্বাধীনতা দিবস রচনা প্রতিটি ক্লাসের পরীক্ষায় ক্ষেত্রে গুরুত্ব পূর্ণ ।তাই সহজ সরল ভাষায় স্বাধীনতা দিবস রচনাটি বর্ণনা করা হল।
ভূমিকা
স্বাধীনতা আমাদের সকলের কাছেই পরম কাঙ্ক্ষিত বিষয়। ১৫ই আগষ্ট আমাদের ভারতবর্ষের স্বাধীনতা দিবস। ১৯৪৭ সালের এই দিনে আমাদের দেশ ব্রিটিশদের পরাধীনতা থেকে মুক্ত হয়েছিল বহু রক্তাক্ষয়ী বিপ্লবের মাধ্যমে। এই দিনটিকে স্মরণীয় করে প্রতি বছর ১৫ ই আগস্ট ভারতে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয়।
ঐতিহাসিক পটভূমি
আজ থেকে প্রায় 400 বছর আগে ব্রিটিশ ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতে ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে আসে সে সময় পাকিস্তান ও বাংলাদেশ ভারতের অংশ ছিল। ব্যবসার পাশা-পাশি ব্রিটিশরা ভারতীয়দের দারিদ্র, অসহায়ত্ব এবং দুর্বলতার সুযোগ নিতে শুরু করে, ধীরে ধীরে তারা ভারতবর্ষে রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল করার দিকে হাত বাড়ায় অবশেষে ১৭৫৭ খ্রিঃ পলাশীর যুদ্ধে বাংলার স্বধীন নবার সিরাজউদদৌলার পরাজয়ের মাধ্যমে ভারতের স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়, এরপর থেকে ভারতবাসীর উপর চলেছে ইংরেজদের শোষণ ও অত্যাচার, দেখা দিয়েছে । দেখা দিয়েছে একের পর এক মহামারী, খাদ্যাভাব, দুর্ভিক্ষ, ভারত হয়েছে দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর।
স্বাধীনতার আকাঙ্খা ও বিপ্লবীদের আত্মবলিদান
পরাধীনতা ও অত্যাচার যত বেড়েছে ভারতবাসীর স্বাধীনতার আকাঙ্খা ততই তীব্র হয়েছে। ভারত বাসীরা নিজেদের দাবিদাওয়া আদায়ের জন্য বিদ্রোহ শুরু করে। দীর্ঘ ১৯০ বছর ধরে রক্ত ঝরেছে গোটা দেশ জুড়ে। হয়েছে মহাবিদ্রোহ, শহিদ হয়েছেন অগুন্তি স্বাধীনতা সংগ্রামী, তবে বিদ্রোহের আগুন নেভেনি স্বাধীনতা লাভের আগে পর্যন্ত, স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম শহিদ মঙ্গল পান্ডে থেকে ক্ষুদিরাম বোস, বিনয়-বাদল-দীনেশ, সূর্যসেন তথা ভগৎ সিং আত্মাহুতি দিয়েছেন সকলেই।
স্বাধীনতার গন আন্দোলন
বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে ভারতে স্বাধীনতা আন্দোলনের নতুন মোড় আসে, গান্ধিজির অহিংসা ও সত্যাগ্রহের মতো আন্দোলন গুলির মাধ্যমে। সমগ্র দেশের মানুষ একযোগে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে শামিল হয়। অন্যদিকে নেতাজী সুভাষচন্দ্রের নেতৃত্বে আজাদ হিন্দ ফৌজ-এর যুদ্ধ স্বাধীননতা সংগ্রামকে অন্য মাত্রা দেয়।
স্বাধীনতার পটভূমি
একদিকে ব্যাপক গন আন্দোলন, আজাদ হিন্দ ফৌজের আগ্রাসন অন্যদিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধাক্কা ব্রিটিশদের বাধ্য করে স্বাধীনতা দিতে। এইসময় ভারত ও পাকিস্তান আলাদা হয়ে যায়। অবশেষে ১৯৪৭ সালের ১৫ ই আগষ্ট ভারতবর্ষ স্বাধীন হয়, ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু তিরঙ্গা পতাকা উত্তোলন করেন।
উপসংহার
আমাদের সকলের কাছে স্বাধীনতা দিবস এক অত্যন্ত আনন্দের দিন। এই দিন পাড়ায় পাড়ায়, স্কুলে, কলেজে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। প্রতিটি বিদ্যালয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জানিয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালিত হয়। দেশের প্রধানমন্ত্রী দিল্লির লালকেল্লায় পতাকা উত্তোলন করে জাতীর উদ্দেশ্যে ভাষন দেন, অন্যদিকে বিদ্যালয়ে বিদ্যালয়ে ছাত্ররা মহান বীর স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্বাধীনভারত কে নিয়ে দেখা স্বপ্নকে সার্থক করে তোলার অঙ্গীকার বদ্ধ হয়।
স্বাধীনতা দিবস রচনা ১০০ শব্দ
স্বাধীনতা দিবস প্রতি বছর ১৫ই আগস্ট তারিখে পালন করা হয়। আজকের এই দিনে ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট তারিখে আমাদের দেশ ভারতবর্ষ বৃটিশদের ২০০ বছরের অত্যাচার ও নিপীড়ন থেকে মুক্তি লাভ করে স্বাধীনতা অর্জন করে। সেই কারণে এই দিনটিকে স্মরণ করার জন্য প্রতিবছর সারা দেশ জুড়ে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়। আমাদের কাছে স্বাধীনতা দিবস এক অত্যন্ত আনন্দের দিন। এই দিন পাড়ায়-পাড়ায়, চলে কালাজ জাতীয় প কা উত্তলন করা হয়। এই দিন প্রতিটি বিদ্যালয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামী দের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জানিয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়। মহাত্মা গান্ধী, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু, ভগত সিং, জওহর লাল নেহরু, মঙ্গল পাণ্ডে প্রমুখ স্বাধীনতা সংগ্রামীদের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে আমাদের দেশ স্বাধীন হয়। এই দিন স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মূর্তিতে এবং ছবিতে ফুলের মালা পরানো হয়। স্কুল, কলেজ অফিস, আদালত সর্বত্র বন্দেমাতরম ধ্বনি জাতীয় পতাকা উত্তলন করে জাতীয় সঙ্গীত জনগণমন-অধিনায়ক গাওয়া হয়। এই দিন দেশের রাষ্ট্রপতি দিল্লীর রাজপথ ও প্রধানমন্ত্রী লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তলন করে জাতির উদ্দেশ্যে বিশেষ ভাষণ দেন। অন্যদিকে আমরা আমাদের বিদ্যালয়ে পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে পতাকা উত্তলন করে জাতীয়।সঙ্গীত গেয়ে সংকল্প গ্রহণ করি।
FAQ:-
1. ১৫ ই আগস্ট কেন পালন করা হয়?
১৯৪৭ সালের এই দিনে আমাদের দেশ ব্রিটিশদের পরাধীনতা থেকে মুক্ত হয়েছিল।এই দিনটিকে স্মরণীয় করে প্রতি বছর ১৫ ই আগস্ট ভারতে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয়।
2. স্বাধীনতা দিবসের গুরুত্ব কি?
এই দিনটি প্রায় দুশো বছর পর ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে জাতির মুক্তির একটি শক্তিশালী অনুস্মারক হিসাবে কাজ করে।
আরও পড়ুনঃ