নমস্কার বন্ধুরা, আজ আমরা শব্দ দূষণ রচনা বর্ণনা করছি আশা রাখছি সবার ভালো লাগবে।
ভূমিকা
নানান প্রকার দূষণের জর্জরিত মানব সভ্যতায় একটি জলন্ত সমস্যা শব্দ দূষণ। ধারাবাহিক যেসব শব্দ স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর বা অস্বস্তির সৃষ্টি করে সেসব শব্দ শব্দদূষণ ঘটায়। যেমন—বাজি ও পটকার শব্দ, গাড়ির হর্ণ, মাইক, টেপরেকর্ডারের তীব্র শব্দ, কলকারখানার শব্দ।
শব্দ দূষণ কী?
পরিবেশে ৪০ ডেসেবেলের ওপর মাত্রার শব্দ যখন মানুষের ও জীবজন্তুর পক্ষে ক্ষতিকর বিভিন্ন সমস্যার কারণ হয়ে দাড়ায় একে শব্দ দূষণ বলে।
শব্দদূষণের কারন
মূলত কলকারখানার নানান ধরনের বিকট শব্দ, যানবাহনের উচ্চকিত আওয়াজ ও ইলেকট্রনিক হন এর শব্দ, বাজি পটকার শব্দ, মাইকের দুরন্ত শব্দ, এরোপ্লেন এবং প্লেনের শব্দ শুধু তাই নয় অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সহযোগ উচ্চকিত প্রধান শব্দ দূষণের কারণ হয় দাড়ায়।
শব্দদূষণের ফল
শব্দদূষণের ফলে শ্রবণশক্তি হ্রাস পায়। হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দে কানের পর্দা ফেটে যেতে পারে, কানের ভেতরের সূক্ষ্ম স্নায়ুগুলি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এসবের ফলে কালা বা বধির হয়ে যেতে পারে। শব্দদূষণের ফলে পড়াশোনায় বা কাজে মনোযোগের অভাব দেখা দেয়, ক্লান্তিবোধ হয়। মানসিক উত্তেজনা, হজমের গণ্ডগোল প্রভৃতি দেখা দেয়। এ ছাড়া মাথার যন্ত্রণা, ঘুম না আসা, মাথা ঘোরা প্রভৃতি দেখা দেয়। রক্তের চাপ বাড়ে, হার্টের অসুখ দেখা দেয়। মানুষ ছাড়াও জীবজন্তু এবং গাছপালার উপরও এর প্রভাব পড়ে।
নিয়ন্ত্রণের উপায়
কলকারখানা, যানবাহন, মাইক প্রভৃতির শব্দমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। গাছ শব্দের বিস্তারে বাধা সৃষ্টি করে। তাই বেশি সংখ্যায় গাছ লাগাতে হবে। এছাড়া আর একটি উপায় আছে। নিজেদের কান রক্ষা করার জন্য কানে প্লাগ লাগানো যেতে পারে। করার জন্য কানে প্লাগ লাগানো যেতে পারে।
উপসংহার
বিভিন্ন পূজা ও উৎসবে মাইকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কঠোর আইন ও তার প্রয়োগের মাধ্যমে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তবেই শব্দদূষণের ফলে সৃষ্টি হয়, এমন রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
আরও দেখুনঃ