ময়ূর রচনা Class 1-6

ভূমিকা

  এদের ময়ূর পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর পাখিদের মধ্যে  অন্যতম। এঁদের গায়ের রঙ উজ্জল ঘননীল। শরীরে বিভিন্ন রঙের পালক থাকে। এদের দুটি  পা আর মাথায় একটি ঝুঁটি আছে। ভারত সহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ময়ূর পাওয়া যায়। এরা খুবই শান্ত ও লাজুক প্রকৃতির। এরা পঁচিশ-এিশ বছর বাঁচে। ময়ূরকে ধন-সম্পদের প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

খাদ্য ও স্বভাব

ময়ূর সর্বভূক প্রাণী। শসদানা, ফলের বীজ, কচিপাতা, ফুলের কুঁড়ি, ছোট- ছোট বাঙ ও কীট-পতঙ্গ এদের প্রিয় খাদ্য । বনে বাস করলেও এঁরা সহজে পোষ মানে। বনে বসবাসের সময় ঘড়কুটো দিয়ে মাটির তলায়  গর্তে  বাসা তৈরি করে। এদের ডাক খুবই কর্কশ। পুরুষ ময়ূরের নাচ খুবই উপভোগ্য। আকাশের কালো- মেঘ দেখলে ময়ূর পেখম- মেলে নৃত্য করে। পেখমের রঙের বাহারে চোখ জুড়িয়ে যায়।

উপসংহার

ময়ূরের পালক দিয়ে বিভিন্ন-রকম সৌখিন দ্রব্য  তৈর করী হয়। বর্তমানে আশঙ্কা-জনকভাবে বিশ্বব্যাপী এই পাখির সংখ্যা কমে যাচ্ছে, এরা বিপণ্ন প্রজাতি হিসেবে বিবেচিত। এদের বাঁচিয়ে রাখা  প্রয়োজন।

ময়ূর সম্পর্কে ১০ টি বাক্য

1. ময়ুর সর্বোচ্চ সুন্দর পাখির মধ্যে একটি পাখি।

 2. ময়ুর সাধারনত শান্ত লাজুক প্রকৃতির হয়।

3. ময়ুর হলো ভারতের জাতীয় পাখি ।

4. উত্তর এবং পশ্চিম ভারতের অনেক রাজ্যেই ময়ুর দেখা যায়।

 5. ময়ুরের গায়ে পালক আছে। পালকগুলি বড়ো বড়ো এবং গায়ের রং নীল ও সোনালী আভাযুক্ত। ময়ুরের পেখন অপরূপ সুন্দর।

6. বর্ষাকালে মেঘ দেখলে ময়ূর আনন্দে পেখম মেলে নাচে।

7.ময়ুর গাছের ডালে বাস করে এবং মাটিতে গর্ত করে ডিম পাড়ে।

 8.ময়ুর পোকামাকর ও সাপ খেয়ে থাকে।

9. ময়ূরকে ধন-সম্পদের প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

 10. ময়ূর আনন্দ ও সৌন্দর্যের প্রতীক।

আরও দেখুনঃ

কুকুরের রচনা

গরু রচনা

Leave a Comment