বসন্তকাল রচনা Class 1-10 Free PDF

ভূমিকা

আমাদের দেশ ঋতু বৈচিত্র্যে সৌন্দর্যময়, ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রতি বছর বয়ে যায় প্রকৃতির নতুন নতুন পর্যায়, কখনো প্রখর তাপদাহ, কখনো প্রবল বর্ষন আবার কখনো তীব্র শৈত্যপ্রবাহ, এভাবেই প্রকৃতি যেন রুপে-রঙে-রসে ঝলমল করে ওঠে, বারবার জেগে ওঠে নতুন আনন্দে, ভিন্ন ভিন্ন রুপে ও বৈচিত্র্যে বাংলার প্রত্যেকটি ঋতুই আমাদের হৃদয়ে নাড়া দিয়ে যায়, ঋতু কালচক্রের সর্বশেষ ঋতু বসন্ত। বসন্তকাল তার ফুল ফলের রঙিন ডালি নিয়ে সকলের মনে দোলা দিয়ে যায়। ছয়টি ঋতুর মধ্যে বসন্ত চির রঙীন তাই একে ঋতুরাজ বসন্ত বলা হয়।

বসন্তের সময়সীমা

ঋতুরাজ বসন্ত উত্তর বাংলা ঋতুচক্রের ছয়টি ঋতুর মধ্যে শেষ ঋতুটি হল বসন্ত । বাংলায় প্রধান ঋতু হল গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত প্রবল শৈত্যের পর আসে বসন্ত। ফাল্গুন ও চৈত্র এই দুই মাস নিয়ে বসন্তকাল৷

বসন্তে প্রকৃতির রুপ

বসন্তকালের সৌন্দর্য এবং শোভা আমাদের মনকে হরণ করে, বসন্তের নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া, প্রাকৃতিক শোভা সকলের প্রানে আনে আনন্দ প্রানে আবহাওয়া, প্রাকৃতিক শোভা সকলের প্রানে আনে আনন্দ, পাতাঝরা গাছগুলোতে নতুন পাতা জন্মায়। আমগাছ মুকুলে ভরে যায় বসন্তের বাতাস দক্ষিন দিক থেকে বইতে থাকে, বসন্ত যেন নবজীবনের প্রতীক, গাছে গাছে কৃষ্ণচূড়া, পলাশ, শিমূল ফুলের মেলা, চারিদিকে কোকিলের কুহু কুহু রব জানান দেয় বসন্ত এসে গেছে। প্রজাপতির আনাগোনা দেখা যায় রঙ-বেরঙের ফুলে। মৌমাছির চাক মধুর টানে গাছে গাছে বাসা বাঁধে অলির গুঞ্জনে মাতোয়ারা হয়।

বসন্ত উৎসব

বসন্তকাল কবি ও সাহিত্যিকের প্রেরণার উৎস হয়ে আছে যুগ যুগ ধরে, চমৎকার আবহাওয়া এবং ফুল ও ফলের প্রাচুর্যের জন্য এ সময় সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও মুখরিত হয়ে ওঠে। উদযাপিত হয় বাসন্তী উৎসব, হোলি উৎসব, দোল বা হোলি বসন্তের বড় আপন উৎসব ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে দোলযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এই উৎসব হল মন রাঙানো রঙের উৎসব, সমস্ত জীনতা ভেঙে ফেলার উৎসব  তাই এই বসন্ত ঋতু সব অর্থে রঙীন এই উৎসবে মানুষ ব্যক্তিগত জীবনের দুঃখ, কষ্ট ভুলে মিলেমিশে যেতে ওঠে রঙের আনন্দে।

উপসংহার

বসন্তকাল মানুষের মনে চেতনা আনে প্রকৃতির হাস্য ও লাস্য মানুষের মনকে প্রভাবিত করে বলে মানুষ এ সময়ে প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরে পায়,  এই ঋতুটি হল সকল ঋতুর চেয়ে শ্রেষ্ঠ, তাই একে ‘ঋতুরাজ’ বলা হয়ে থাকে। প্রকৃতির রাজ্যে বুড়ো শীত চলে যাওয়ার পর ঋতুরাজ বসন্তের আবির্ভাব ঘটে। বসন্তের আগমন ঘটলে চারদিকে খুশির স্পর্শ অনুভূত হয়। শীতকালে গাছ থেকে যেসব পাতা ঝরে পড়ে, বসন্ত এলে সেসব গাছে আবার নতুন করে পাতা জন্মায়। দক্ষিণ দিক থেকে মৃদুমন্দ বাতাস বইতে থাকে। ঋতুরাজ বসন্ত যাবার আগেও দু-হাত ভরে দিয়ে যায় নতুন একটা বছর, বৈশাখীর আনন্দে বাঙালীকে মাতিয়ে বিদায় নেয় ঋতুরাজ।

বসন্তকাল সম্পর্কে ১০ টি বাক্য

  1. ঋতুচক্রের ছয়টি ঋতুর মধ্যে শেষ ঋতুটি হল বসন্ত । ফাল্গুন ও চৈত্র এই দুই মাস নিয়ে হয় বসন্তকাল ৷
  2. প্রকৃতির রাজ্যে বুড়ো শীত চলে যাওয়ার পর ঋতুরাজ বসন্তের আবির্ভাব ঘটে। বসন্তের আগমন ঘটলে চারদিকে খুশির স্পর্শ অনুভূত হয়।
  3. এই ঋতুটি হল সকল ঋতুর চেয়ে শ্রেষ্ঠ, তাই একে ‘ঋতুরাজ’ বলা হয়ে থাকে।
  4. বসন্তকালের পরিষ্কার ঝকঝকে সকাল প্রকৃতিরাজ্যে এক মোহময় পরিবেশের সৃষ্টি করে।
  5. শীতকালে গাছ থেকে যেসব পাতা ঝরে পড়ে, বসন্ত এলে সেসব গাছে আবার নতুন করে পাতা জন্মায়।
  6. পলাশ, শিমুল ওকৃষ্ণচূড়া গাছের সবুজ শাখা লাল ফুলে ভরে ওঠে। আমের ডালে মুকুল ধরে। চারদিকে কোকিলের কুহু কুহু ডাক শুনতে পাওয়া যায়।
  7. বসন্তকালে মানুষের জীবনে আসে আনন্দের দোল উৎসব বা হোলি। দোল উৎসবে একে অপরকে রং দেওয়ার মধ্য দিয়ে মানুষের শরীর ও মন এক অনাবিল খুশিতে ভরে ওঠে।
  8. দক্ষিণ দিক থেকে মৃদুমন্দ বাতাস বইতে থাকে।
  9. তবে এসময় বসন্তরোগের প্রাদুর্ভাবও দেখা যায়।
  10. ঋতুরাজ বসন্ত যাবার আগেও দু-হাত ভরে দিয়ে যায় নতুন একটা বছর, বৈশাখীর আনন্দে বাঙালীকে মাতিয়ে বিদায় নেয় ঋতুরাজ।

আরও পড়ুনঃ

ছাত্র জীবনে খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা রচনা

স্বামী বিবেকানন্দের রচনা 

Leave a Comment