কম্পিউটার রচনা নীচে খুব সহজ সরল ভাষায় বর্ণনা করা হল।
ভূমিকা
কম্পিউটার আধুনিক বিজ্ঞানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভাবন। কম্পিউটার শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ ‘কম্পিউট’ যার অর্থ হিসাব বা গণনা করা। প্রথম দিকে কম্পিউটার শুধু হিসাব করার যন্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হতো। কিন্তু কালক্রমে কম্পিউটারের এমন বিকাশ ঘটেছে যে, একুশ শতকের সূচনায় এসে কম্পিউটার জীবনযাত্রার সকল কাজের নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে।
আবিষ্কার ও গঠন
কম্পিউটার বিভিন্ন বৈজ্ঞানিকের দীর্ঘদিনের চেষ্টায় আবিষ্কৃত হয়েছে। তবে কম্পিউটার আবিষ্কারের ব্যাপারে চার্লস ব্যাবেজের অবদান সবচেয়ে বেশি। কম্পিউটার বিভিন্ন অংশ আছে । সেগুলি তারের দ্বারা যুক্ত থাকে। কম্পিউটারকে তথ্য দিলে গ্রহন এবং সংরক্ষন করতে পারে। সেই তথ্য ও নির্দেশের সাহায্যে বিভিন্ন জটিল সমস্যার সমাধান করতে পারে।
ব্যবহার
কম্পউটার বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। যে কোনো সমস্যার সমাধান করতে পারে এই যন্ত্রটি। আবার চিঠি লেখা, ছবি আকা, বই ছাপা ইত্যাদি নানা রকম কাজ করতে পারে। প্রতিদিনের কাজ কর্ম, ব্যাবসাবানিজ্য, শিল্প, চিকিৎসা, বৈজ্ঞানিক গবেষনা, যোগাযোগ, মহাকাশ অভিযান ইত্যাদি নানা কাজে কম্পউটার ব্যবহৃত হয়। নানা ধরনের তথ্য ও উপস্থাপনের কাজে শিক্ষার্থী ও গবেষককে কম্পিউটারের সাহায্য নিতে হয়। কম্পিউটারের যন্ত্রাংশকে বলে হার্ডওয়্যার বা যন্ত্রপাতি।
ভারতে কম্পিউটার
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এখন কম্পউটার ব্যবহার শুরু হয়েছে। আমাদের দেশেও পিছিয়ে নেই। এদেশে কম্পিউটার ব্যবহার ক্রমশ বাড়ছে। বিভিন্ন অফিস- আদালতে, শিল্প ও বানিজ্য প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।
উপসংহার
কম্পিউটারের নিজস্ব কোনো চিন্তাশক্তি নেই । তাকে যেসব তথ্য সরবরাহ করা হয়, তার সাহায্যে সমস্যার সমাধান করতে পারে। কম্পউটার আমাদের মানসিক পরিশ্রম অনেকখানি কমিয়ে দিয়েছে।
আরও দেখুনঃ
FAQ:-
1. কম্পিউটার এর জনক কে?
কম্পিউটার এর জনক চার্লস ব্যাবেজ।
2. কম্পিউটার বাংলা কি?
কম্পিউটার বাংলা অর্থ যন্ত্রগনক।
3. ধরণ অনুযায়ী কম্পিউটার কত প্রকার?
ধরণ অনুযায়ী কম্পিউটার তিন প্রকার।